পৃথিবীতে বিভিন্ন পেশা রয়েছে এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স পেশা একটি অন্যতম। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এটা ব্যাতীত জীবন কল্পনা করা যায়না। এখানে রয়েছে আবেগ, অনুভুতি, চাওয়া, পাওয়া, না পাওয়ার আনন্দ। ইলেকট্রনিক্স পেশা নিয়ে এক এক জনের ভাবনা এক এক রকম। যে যত ইলেকট্রনিক্স নিয়ে বেশি সময় পার করবে তার কাছে এটা খুব সহজ একটা জিনিস মনে হবে। আর যে কিছুই জানেনা তার কাছে কাছে এটি একটি অলিক বস্তুুর মত মনে হবে। এমন এক সময় ছিল মানুষের জ্ঞান পরিমাপ করা হত তার লেখা বা হাতের কাজ পরিমাপ করে। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে খানিকটা পাল্টে এটা এখন প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষতার উপর পড়েছে। আর প্রযুক্তির মূলেই রয়েছে ইলেকট্রনিক্স সব আবিস্কার এবং তা অপারেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করা। একটু ভাবুন তো! পৃথিবীতে কত কত জিনিস ইলেকট্রনিক্স আবিস্কার করেছে আমার দেখা আবিস্কার গুলোর মধ্যে - টর্চ লাইট,এলইডি ভালব্, টেবিল ল্যাম্প, হাত ঘড়ি, এমপি৩ প্লেয়ার, রেডিও(বেতার), টিভি, মনিটর, কম্পিউটার, ট্যাব, মোবাইল ফোন, রাউটার, অনু, নোড, ইউপিএস, আইপিএস, ভোল্টেজ স্টাবলাইজার, লাইটার, ইন্ডাকশন হিটার, সেল্ডারিং আয়রন, মাইক্রোওয়েব ওভেন সহ আরো অনেক। মজার বিষয় হলো এগুলো সবকটিই ইলেকট্রনিক্স পন্য কিন্তু এদের কাজের পদ্ধতি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেমন- এমপি3 রেকর্ডিং করা গানকে শ্রবন যোগ্য করে তোলে, আবার ভোল্টেজ স্টাবলইজার একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ স্থির রাখার কাজ করে। আবার রাউটার কোন তথ্য সম্প্রচারের জন্য একটা নির্দিস্ট এরিয়ার নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক বলয় সৃস্টি করে।
এখানে সকল ইলেকট্রনিক্স পন্য মানুষের কল্যানে কোন না কোন কাজ করছে। আর এই কাজ করার জন্য প্রত্যেকের একটি এনার্জি/শক্তি প্রয়োজন। এই এনার্জী/শক্তি হল বিদ্যৃৎ বা ইলেকট্রিসিটি। এই বিদ্যৃৎ শক্তির মধ্যে দুটি উপাদান বিদ্যমান। (১) ভোল্ট/চাপ, (২) কারেন্ট/স্রোত।
ইলেকট্রনিক্স পন্য গুলো কিভাবে কাজ করে?
ভোল্ট এবং কারেন্ট প্রবাহের চাপ/গতি নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে কাজ করে। এখন প্রশ্ন কিভাবে বিদুৎ এর চাপ ও গতি নিয়ন্ত্রণ করে? এজন্য আমাদের জানা প্রয়োজন কিকি খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয়।
০১। রেজিস্টর। (বিদুৎ প্রবাহের পথে বাধা প্রদান করে)
০২। ক্যাপাসিটর, (বিদুৎ প্রবাহের পথে বাধা করে এবং বিদুৎ ধারণ করতে পারে বলে একে ধারকও বলা হয় )।
|
০৩। ইন্ডাকটর, (এসি বিদুৎ প্রবাহের পথে বাধা করে)
০৪। ডায়োড ( দ্বিমূখী বিদুৎকে একমূখী করে, ডিটেকশন ও প্রটেকশনের কাজও করে)
০৫। ট্রান্সজিস্টর ( সুইচিং, ভোল্টেজ /কারেন্ট কন্ট্রোল, বিবর্ধক হিসেবে কাজ করে)
০৬। আইসি ( এটা মুলত রেজিস্টর,ক্যাপাসিটর,ইন্ডাকটর,ডায়োড এবং ট্রান্সজিস্টর এর সমন্বয়ে তৈরী একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট একটা বিশেষ প্রক্রিয়ায় চিপের মধ্যে বসিয়ে তৈরী করা হয়)
০৭। আরটিসি-RTC (রিয়েল টাইম ক্রিস্টাল ক্লক, যে সকল মাদার বোর্ডে হাই ফ্রিকোয়েন্সি কাজ হয় সেখানে এটা ব্যাহৃত হয় সঠিক মানের ফ্রিকোয়েন্সি জেনারেট করার জন্য)
০৮। ভিসিও-VCO ( এটা ভোল্টেজে কাজ করে)।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস