Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Freelanching
Details

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং : বাংলাদেশের সম্ভাবনা

 

যখন কোন দেশের কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি থাকে তখন একটি দেশ ডেমোগ্রাফিক বোনাসে প্রবেশ করে। ২০১২ সালে আমাদের বাংলাদেশ এ ডেমোগ্রাফিক বোনাস-এ প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬০ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি; এই হিসাবে প্রায় ৭ কোটি জনগণ ১৮ বছর এর  নিচে।  (তথ্যসুত্রঃ সিআইএ- দ্যা ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক)। উন্নত এবং উন্নয়নশীল খুব কম দেশই এই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী পেয়েছে।

চীনে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী থাকলেও ২০১২ সালে দেশটি ডেমোগ্রাফিক বোনাস থেকে বের হয়ে গেছে, অর্থ্যাৎ দেশটিতে এখন নির্ভরশীল জনগনের সংখ্যা বেশি। সেখানে আমাদের বর্তমানে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা বেশি, নির্ভরশীল নয়। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ইতিবাচক দিক। কিন্তু সেই ইতিবাচক দিকটির উপযুক্ত ব্যবহার কি আমরা করতে পারছি? না, পারছি না। আমাদের দেশে এখন লাখো বেকার চাকুরির আশায় ঘুরছে, কর্মের সুযোগ খুঁজে ফিরছে। এই বিপুল জনসাধারণকে কাজ দিতে না পারলে এই কর্মক্ষম লোকগুলো আমাদের জন্য সম্ভাবনা না হয়ে বরং বোঝা হবে। আমার মতে শুধু বিদেশে লোক পাঠিয়ে বা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে এত কাজ দেয়া সম্ভব না। বাংলাদেশের এই শিক্ষিত বিপুল কর্মক্ষম জনগনের কাজের জন্য অনলাইন আউটসোর্সিং শিল্পের অনলাইন ফ্রিল্যান্স পেশাদার হিসাবে গড়ে তোলা অন্যতম ফলপ্রসু সমাধান হতে পারে।

আউটসোর্সিং অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং
 

ইদানিং বাংলাদেশে খুব বেশি মাতামাতি হচ্ছে আউটসোর্সিং নিয়ে। রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার পায়তারায় মত্ত আছে একটি শ্রেণী। অনলাইনে আয় করার এইসব বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন অনেকে। অনেকে আউটসোর্সিং ও অনলাইনে আয় বিষয় দুটোকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন।

যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ ইন-হাউজ না করে বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তখন তাঁকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা মূলত ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের আউটসোর্সিং। ব্যবসায়িকভাবে আউটসোর্সিং সার্ভিসের শিল্পটা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এটা ঠিক আউটসোর্সিং সার্ভিস দেয় এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং দিন দিন এটি বাড়ছে। অনেকের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করে উদ্যোক্তা হবার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে, এটি সত্যিই আশা ব্যঞ্জক।  এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সিং থেকেই নিজস্ব ব্যবসায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল।

কেন আউটসোর্সিং করা হয়?
 

তৃতীয় বিশ্বে আউটসোর্সিং করে উন্নত দেশের ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ অনেক কমিয়ে নিচ্ছেন। কতটা কমছে তার একটা ধারনা দেই, আমেরিকায় একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) পেশাজীবির গড় বেতন ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু বাংলাদেশী কোন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে এই কাজটি দেড় থেকে ২ হাজার ডলার দিয়ে করিয়ে নেয়া সম্ভব। এখন হিসাব করুন কি পরিমাণ খরচ কমে যাচ্ছে আউটসোর্সিংয়ের ফলে।

 

 

আমরা কিভাবে লাভবান হব?


আমাদের যদি কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে তবে উন্নত দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো আমরা বাংলাদেশে বসেই করে দিতে পারি। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসাবে আমরা যদি মাসে ২ হাজার ডলারও আয় করতে পারি, বাংলাদেশী টাকায় সেটি দাড়াবে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা! বাংলাদেশি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে কি এই পরিমাণ অর্থ কোনভাবেই আয় করা সম্ভব?

কারা যুক্ত হতে পারে কাজে?
 

যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব কাজ আউটসোর্সিং হয় বা সামনের দিনগুলোতে হবে তার একটা তথ্যবিবরণী নিচে দেয়া হলো। এই সকল কাজগুলো করার জন্য যে ধরনের যোগ্যতা লাগে তার একটা ধারনা পাওয়া যাবে নিচের তালিকা থেকে।

উপরের তথ্য বিবরণীটি দেখলেই বুঝে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এ বিষয়গুলো পড়ছে। বিবিএ পড়ুয়া একজন ছাত্র অনায়েশে মানব সম্পদ উন্নয়ন, অর্থ-ব্যবস্থাপনা স¤পর্কিত কাজ, হিসাবরক্ষণ, বাজার গবেষণা বিষয়ক কাজগুলো করতে পারে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরবর্তী প্রজন্মের স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার তৈরি হচ্ছে। তাঁরা চাইলেও আউটসোর্সিং শিল্পের একজন মুক্ত পেশাজীবি হতে পারেন। কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো আমাদের স্কুল বা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও করতে পারে, যেমন ডাটা এন্ট্রির কাজ।

কেন ফ্রিল্যান্সিং সবচেয়ে ফলপ্রসু সমাধান?


লেখার শুরুতে বলেছিলাম বাংলাদেশের এই বিপুল কর্মক্ষম জনগনের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম ফলপ্রসু সমাধান। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং যতটা না কায়িক পরিশ্রমের কাজ তার চেয়ে বেশি বুদ্ধিদীপ্ত কাজ। আর আমাদের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদেরকে যদি অনলাইন ফ্রিল্যান্স কাজগুলো একবার ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়া যায় তবে তাঁরা অনায়াসেই এ ক্ষেত্রে অনেক ভালো কিছু করতে পারবে।


আমদানী নির্ভর আমাদের এ দেশে যত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের প্রয়োজন হয় তার একটি বড় অংশ আসে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে। ২০১২ সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওর্য়াল্ড ব্যংক)। প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫ সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের কাছাকাছি।

এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা এর ১০% মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা কিনা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম করবে।

আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। আর এ মহিলাদের একটা বিশাল অংশ অর্থনীতিতে হিসাব হয় এমন কাজ খুব কমই করেন। তাঁরা বাসায় বসে যে কাজ করেন সেটা জিডিপিতে হিসাব হয় না। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ চাইলে বাসায় বসে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময় দিলে প্রতি ঘন্টা ১ ডলার হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ ডলারও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। মোট কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা যদি ৭ কোটি হয় তাহলে নারী আছে ৩.৫ কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত তরুণী এবং মহিলা যদি অর্ধ কোটিও হয় এবং তাঁদেরকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন ১.৫ কোটি ডলার আয় আসবে এ ক্ষেত্র থেকে। বছরে এ আয়ের পরিমাণ দাড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে।

 

আমরা কি প্রস্তুত?
একদিকে আমাদের যেখানে কর্মক্ষম লোকের অভাব নেই অপরদিকে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং শিল্পের কাজও অফুরন্ত। এত সম্ভাবনার মাঝে আমরা আসলে কতটা প্রস্তুত? সত্যি কথা বলতে আমাদের প্রস্তুতি তেমন নেই বললেই চলে। নতুন ধারায় তরুণদের হাত ধরে উন্নতি যা হচ্ছে তাও নষ্ট হচ্ছে রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার পায়তারায়। অনলাইনে আয় করার এইসব বাহারি বিজ্ঞাপনের বক্তব্য দেখলে মনে হয় যে অনলাইনে আয় করতে কিছুই জানতে হয় না, শুধু ইন্টারনেট ও কম্পিউটার থাকলেই হয়। কোন ধরনের সাহায্য ছাড়া আমাদের তরুণেরা যে শিল্পটা কেবল তৈরি করছে সেটা ধ্বংস করে দিচ্ছে এই সকল ফটকা ব্যবসায়ীরা। অবস্থা এমন যে অনেক ক্ষেত্রে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সিং শিল্পের সাথে জড়িত এটা বলতে বিব্রত হতে হয়। এ ক্ষেত্রে এখন আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে ভালোমানের যে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাঁদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করা জরুরী। আর এক্ষেত্রে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান যেন মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিয়ে এগিয়ে আসে সে বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখা দরকার। ভালো মানের প্রশিক্ষণ ছাড়া ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করা সম্ভব নয়।

সূচনাঃ বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি আলোচিত বিষয়, তাই অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন, কিন্তু তারা সঠিক গাইড লাইন বা তথ্যের অভাবে সঠিক ভাবে আগাতে পারেনা বা সঠিক লক্ষে পোঁছাতে পারেনা। তাই, আমি আজ নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একেবারে শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো এবং ...

·  অনলাইনে আয়ের সম্ভাবনা ও বাংলাদেশ |

প্রযুক্তি বিশ্ব দিন দিন এগিয়ে চলেছে অবিশ্বাস্য গতিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার সেই সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা । আজ থেকে কিছুদিন পূর্বেই কর্মের স্থান ছিল কর্মস্থল কিন্তু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তা যেন এক ইতিহাস হতে চলেছে ।

ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী সাধারন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । মানুষ গান শোনা, টিভি দেখা কথা বলা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, তথ্য অনুসন্ধান সহ সব কিছুই করতে পারছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। প্রযুক্তির কল্যানে কর্মস্থলও এখন হাতের মুঠোয় ।

উন্নত দেশে কাজের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ার কারনে তারা তাদের কাজগুলো অনলাইনে দিয়ে দেয়। স্বল্প মুল্যে কাজগুলো তারা করিয়ে নেয় এতে তারাও লাভবান হয় এবং কর্মীও উপকৃত হয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে বাংলাদেশী কর্মী ঘণ্টায় ১-১০ ডলার অর্থাৎ ৮১ টাকা থেকে ৮১০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকে । এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করা হয়। বাংলাদেশের হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

এই সকল ফ্রিল্যান্সাররা এই পেশার মাধ্যমে তাদের জীবন উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। ওডেস্কের প্রতিবেদন অনুসারে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ৭ লক্ষ্য ঘণ্টা কাজ করেছে ( এটি শুধুমাত্র একটি সাইটের প্রতিবেদন ) এই সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে । বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র দেশ হলেও ফ্রিল্যান্সাররা এই দেশকে উপরের সারিতে নিয়ে এসেছে।

যারা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তাদের হাজারো প্রতিকুলতার মাঝে পথ চলতে হচ্ছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মাস্টারকার্ড ব্যাবহারের অনেক জটিলতা রয়েছে অনলাইন ব্যাংক পেপাল এদেশের আইটি খাতের সবচেয়ে বড় বাঁধা। এছাড়াও চেক ভাঙ্গানো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অউটগোইং বন্ধ ইত্যাদি অসংখ্য জটিলতা সত্ত্বেও এদেশের তরুন সমাজ এগিয়ে চলেছে বাধাহীন ভাবে।

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে এই সমস্যা থেকে উত্তরনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে এগুলোকে  যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা উচিৎ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ হলো আগামি সেপ্টেম্বর মাস থেকে  থ্রিজি সুবিধা চালু, ২০১৩ সালের শুরুতে পেপালের আগমন ইত্যাদি।

 

পনি কি অনলাইনে অর্থ উপার্জনের কথা ভাবছেন ?

  আপনি আমার এই নিবন্ধটি পড়ছেন এর অর্থ আমি ধরে নিচ্ছি আপনি অনলাইনে উপার্জনের কথা ভাবছেন । অধিকাংশ বাংলাদেশি তরুন তরুণীরা অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য চেস্টা করে কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কারনে তারা সফলতা পায়না। আজকে আমি আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয় উপস্থাপন করবো যার দিকে আপনাকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবেঃ- ১, প্রথমত আপনাকে সার্বক্ষণিক অর্থ উপার্জনের চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে আপনি সেই মোতাবেক পরিকল্পনা গ্রহন করবেননা। ২, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

 

ফ্রিলাঞ্চিং সাইটে বিড করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন?

  বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে বর্তমানে অনেক উপরে উঠে গেছে এবং বিশ্বের বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিলাঞ্চিং সাইটের রেঙ্কিং এ শীর্ষের দেশগুলোর কাতারে অবস্থান করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অধিকাংশ ফ্রিলাঞ্চারের এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে পিছিয়ে পড়েছে। আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর নতুন তরুনরা ফ্রিলাঞ্চিং সাইটে এক বা একাধিক সাইটে বিড করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন কিন্তু কাজের দেখা পাননা এর কারনগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। ফ্রিলাঞ্চিং সাইটে নতুন যারা একাউন্ট করেন তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করলে দেখা যায় ৯০ ভাগেরও বেশী তরুন তাদের প্রোফাইল সম্ব্রিদ্ধ করার

 

ঘরে বসে আয় করুন । অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ুন। ঘরে বসে কীভাবে আয় করা যায়?

  ঘরে বসে আয় করা অসম্ভব মনে হলেও প্রযুক্তির এই যুগে তা সম্ভব। আপনি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন । এ পেশা বাংলাদেশ নতুন হলেও  বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাছে ঠিক ব্যাতিক্রম, আমেরিকা, লন্ডন, চীন ইত্যাদি দেশের  আমার অনেক মেধাবী সামাজিক বন্ধু এই পেশায় জড়িত অনেক বছর থেকে যারা ঘরে বসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী তরুন এখন অনলাইনে পরিশ্রম করে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে

 

অডেস্ক কি ? অডেস্ক রিভিউ

 

  ইন্টারনেটে নবীনদের জন্য আয় রোজগার করার অন্যতম সহজ প্লাটফর্ম অডেস্ক। কর্মীগণ তাদের পর্টফোলিও, জীবন বৃত্তান্ত বা রিজিউম এখানে জমা রাখেন আর দেশ বিদেশের কর্মদাতারা তাদের পছন্দমত কর্মী খুজেঁ নেন। এক কথায় অডেস্ক হল একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যে কর্মদাতাদের কাজগুলো কর্মীদের দ্বারা করিয়ে নেয় বিনিময়ে অডেস্ক কিছু কমিশন নিয়ে থাকে । অডেস্কে অনেকগুলো কর্মক্ষেত্র রয়েছে। যেমনঃ-সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, ফটোশপ, গ্রাফিকস্‌ ডিজাইন, ডাটা এন্‌ট্রি থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল সহযোগী থেকে শুরু করে প্রজেক্ট ম্যানেজার আর ওয়েবসাইট নির্মাতা ইত্যাদি অসংখ্য ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার কাজ পাওয়

বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং

  তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে অনলাইন আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং । ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন অনেকেই ৷ কেউবা অবসর সময়ে আবার কেউবা পড়ালেখার পাশাপাশি বা পড়ালেখা শেষে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং করে থাকেন। এটি একটি উন্মুক্ত কর্মক্ষেত্র যেখানে যেকেউ কাজ করতে পারে যেকোনো সময়ে । অসংখ্য বাংলাদেশী তরুন তরুণী নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সফলভাবে গড়ে তুলেছেন এই সেক্টরে। ফ্রিল্যান্সিং এ বিড করে কাজ পাওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়ারের সাথে ইংরেজিতে চ্যাট করতে

 

অনলাইনে আয়ের সম্ভাবনা ও বাংলাদেশ

 

  প্রযুক্তি বিশ্ব দিন দিন এগিয়ে চলেছে অবিশ্বাস্য গতিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার সেই সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা । আজ থেকে কিছুদিন পূর্বেই কর্মের স্থান ছিল কর্মস্থল কিন্তু প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তা যেন এক ইতিহাস হতে চলেছে । ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী সাধারন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । মানুষ গান শোনা, টিভি দেখা কথা বলা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, তথ্য অনুসন্ধান সহ সব কিছুই করতে পা+++++++++++/ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। প্রযুক্তির কল্যানে কর্মস্থলও এখন হাতের মুঠোয় । উন্নত দেশে কাজের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ার কারন

Images
Attachments
Publish Date
22/04/2019
Archieve Date
31/12/2019